জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা সারা দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলি সব কিছু মুখোমুখি হয়েও আমি বেঁচে আছি এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও জানতাম না যে প্রস্তাবটি (কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়ে) কখন জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়েছিল। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আমাকে অবহিত করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ধন্যবাদ আমার দেশবাসীকে, তারা যদি বার বার ভোট না দিত, আর আমাকে সেবা করার সুযোগ না দিত আমি তো আসতে পারতাম না। আর মানুষের সেবা করার সুযোগও পেতাম না।
তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা সকলের সঙ্গে শেয়ার করব। অনেক দেশ এভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারেনি তাদের সঙ্গে শেয়ার করব। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা নিতে আসে সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।
মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিক উদ্যোগের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৭০টি দেশকে ধন্যবাদ জানাতে বলেন, যারা প্রস্তাবটি কো-স্পন্সর করেছে এবং জাতিসংঘের সবক’টি সদস্য দেশ সর্বসম্মতভাবে এটিকে সমর্থন করেছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলি প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে এবং সাধারণ মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে আসছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।